ড্রোন বিমানের কাহিনী তো অনেক শুনলাম এবার তাহলে আলোচনা করা যাক ড্রোনশিপ নিয়ে।
যুক্তরাস্ট্র ড্রোনবিমান প্রযুক্তিকে অধিকতর উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ২০১০ সাল থেকেই ড্রোনশিপ নিয়েও কাজ করা শুরু করে। মূলত এন্টি সাবমেরিন ওয়্যারফেয়ার এর জন্যই তৈরী করা হয় Sea Hunter USV
পেন্টাগন এর রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট ইউনিটের অন্যতম সংস্থা DARPA (Defense Advanced Research Projects Agency) ২০১০ সালে এর কাজ শুরু করে। ভিগর ইন্ডাস্ট্রিয়াল নামক নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এটি নির্মাণ করে। প্রায় চার বছর পর ONR (Office of Neval Research) এটি নির্মাণে যৌথ অংশীদার হয়।
২০১৬ সালের এপ্রিলেই এটি নির্মাণসম্পন্ন হয়।তারপর থেকে পরবর্তী দুবছর শুধু পরীক্ষার উপর দিয়ে যায়। অবশেষে ৩০ শে জানুয়ারী,২০১৮ DARPA থেকে ONR যাওয়ার মাধ্যমে এটির ট্রায়াল পূর্ণরুপে শেষ হয়।
এটি মূলত USV (Unnamed Surface Vessel) বা ACTUV (Anti-Submarine Warfare Continuous Trail Unnamed Vessel)। ইউএস নেভি এটিকে SEA HUNTER বলে ডাকে। এটি সেন্ট্রাল হালের সাথে দুটি Outriggets সমৃদ্ধ একটি ট্রাইমেরান।
এবার এক নজরে সী-হান্টার সম্পর্কে জেনে নিইঃ
- এটির নির্মাণ ব্যায় প্রায় ২০ মিলিয়ন ইউএস ডলার।
- প্রতিদিনের অপারেশনাল খরচ প্রায় ২০,০০০ ডলার।
- এটি প্রায় ১৩২ ফুট লম্বা।
- এর ওজন প্রায় ১৩৫ টন (৪০ টন তেলসহ) ফুল লোড অবস্থায় ১৪৫ টন।
- সর্বোচ্চ স্পিড ২৭ নটিক্যাল মাইল (৫০ কিলোমিটার)।
- একবার ফুল লোড অবস্থায় এটি টানা প্রায় ২ মাস ১০ দিন চলতে পারে।
- ১৪,০০০ গ্যালন তেল নিয়ে এটি যদি ১২ নট গতিতে চলে তাহলে এটি ১৯ হাজার কিলোমিটার (১০ হাজার নটিক্যাল মাইল) পাড়ি দিতে পারবে যা সান ডিয়েগো থেকে গুয়াম গিয়ে আবার পার্ল হারবারে ফিরে আসতে পারবে অনায়াসেই।
এটির ট্রাইমেরান গঠন এটিকে অধিকতর ভারী কীল ছাড়াই Sea State 5 (৬.৫ ফুট উচ্চতার ঢেউ ও ৩৯ কিলোমিটার গতি/ঘন্টা বায়ুবেগ) এ এটিকে অপারেশনাল রাখতে সক্ষম এবং এটি Sea State 7 বা ২০ ফুট উচ্চতার ঢেউ এ নিজেকে সার্ভাইভ করতে সক্ষম।
সাবমেরিন শনাক্ত ও ধ্বংসে এটিকে অত্যন্ত উপযোগী করে বানানো হলেও এটিতে আসলে কি ধরনের অস্ত্র সংযোজন করা হবে তা জানানো হয়নি। হয়তো লেটেস্ট প্রযুক্তির অস্ত্র নিয়ে গোপনীয়তা বজায় রাখা হচ্ছে।
আরো কিছু ছবিঃ
লেখায়ঃ আফিফ আবদুল্লাহ ও এডমিন কর্তৃক সংযোজিত।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.