৮০ দশকে যখন সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্থান আক্রামন করে তখন পাকিস্থানের গোয়েন্দা বাহিনী আই এস আই আফগানিস্থানের রুশ আর্মির গোপন পরিকল্পনা জানার জন্য ইসলামাবাদে সোভিয়েত ইউনিয়নের এ্যাম্বেসীতে আই এস আই একজন ইনফর্মার ঢুকাতে সক্ষম হয়। পরবর্তী সময়ে সেই এজেন্টে জানতে পারে যে দুতাবাসের থার্ড সেক্রেটারী কারাকোরাম হাওইওয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের জন্য একজন পাকিস্থানি এজেন্ট ইজাজকে ব্যাবহার করছে।

আসলে ইজাজ ছিল কেজিবি এজেন্ট সে পাকিস্থানি ও মার্কিনদের তথ্য কেজিবির কাছে পাচার করতো। পরবর্তী সময়ে দূতাবাসের এজেন্টের সাহায্যে আইএসআই ইজাজকে শনাক্ত করে ও ধরে ফেলে। কিন্ত ইজাজকে ধরার পরে তাকে কাজে লাগায় আইএসআই তাঁরা ইজাজের মধ্যমে সোভিয়েত দুতাবাসকে আই এস আইয়ের শিখিয়ে দেয়া ভুয়া তথ্য সরবরাহ করে প্রায় ৩ বছর ! 

কিন্ত কেজিবি এক সময় বুঝতে পারে কোথাও সমস্যা আছে কারণ আফগানিস্থানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ রুশ স্থাপনায় হামলা ও অনেক হতাহত হবার পরে নিশ্চিত হয় তাঁদের দুতাবাসে কোন এজেন্ট আছে। ফলে এক সময় কেজিবি ইজাজের বিষয়টি বুঝতে পারে ও যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। কিন্ত ততদিনে অনেক দেরি হয়ে গেছে। উপরোক্ত এই গোয়েন্দা অভিযানটি পাকিস্থানের গোয়েন্দা বাহিনীর সেরা সাফল্য যার পরিমাণে অনেক ক্ষতির স্বীকার হতে হয় রাশিয়ার। 

তাছাড়াও আফগানিস্থানে আরও একটি দুর্দর্শ অভিযান পরিচালনা করে আই এস আই। 

আশির দশক জুড়ে আই এস আই সাফল্যের সাথে আফগানিস্তানে সোভিয়েতদের বিরুদ্ধে আফগান মুজাহেদিনদের অস্ত্র সরবরাহ ট্রেনিং প্রদান করে। এসময় তারা আমেরিকা ও ইউরোপ থেকে কয়েক হাজার স্ট্রিঙ্গার সারফেস টু এয়ার মিসাইল কেজিবি রেড আর্মির চোখ এড়িয়ে আফগানিস্তানে সাপ্লাই করে।

কিন্তু বিমান বিধ্বংসী বেশিরভাগ অস্ত্র ছিলো সোভিয়েত ইউনিয়নের তৈরি করা আই এস আই এইসব অস্ত্র ইসরাইলী মোসাদের কাছে থেকে সংগ্রহ আফগানদের দেয় যাতে আমেরিকার বিরুদ্ধে সরাসরি অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ রাশিয়ানরা না করতে পারে। এই পুরো ঘটনার উপর টম হ্যাংক্স অভিনিত “চার্লি উইলসন্স ওয়ার” নামের একটা হলিউড মুভি আছে।

Facebook Comments

comments