এটি বিশ্বের সবচেয়ে সাহসী গেরিলা দল হামাসের তৈরি এন্টি ট্যাংক রকেট। সোভিয়েত RPG-2 এবং RPG-7 এর উপর ভিত্তি করে এটি বানানো হয়েছে। এর ডিজাইনারের নাম আদনান আল ঘুল।
২০০৪ সালের ব্যাটল অফ জাবাইলা যুদ্ধে সর্বপ্রথম এটি ব্যবহার করা হয়। ২০০৫ সালের ১৯ শে জুন ইয়াসিন রকেটের আক্রমনে ইজরাইলের এক সৈন্য নিহত হয়। এরপর থেকেই বিভিন্ন যুদ্ধ ও খন্ডযুদ্ধে এটি ইজরায়েলি সেনাদের নিকট এক মূর্তিমান বিপদ হিসেবে দেখা দিয়েছে।
ট্যাংক, এপিসি, আইএফভি ইত্যাদি গাড়িতে হামাস যোদ্ধারা এগুলো দিয়ে হামলা চালায়। হামলার ফলে সবসময় গাড়ি ধ্বংস না হলেও মারাত্মক ড্যামেজ হয়, মাঝে মাঝে টার্গেট ধ্বংস হলে পুরো গাড়িটিই নখদন্থীন বাঘে পরিণত হয়। তখন ইজরায়েলি সেনাদের পক্ষে কোনরকমে জীবন নিয়ে পালিয়ে আসাই অনেক কঠিন হয়ে পড়ে।
এই রকেটের দৈর্ঘ্য ১ মিটার, ওজন ৭ কেজি। এটি ৩০০ মিটার দূরের টার্গেটে হামলা চালাতে পারে। ফায়ার করার পর মাত্র ১ সেকেন্ড বা তার কম সময়ের মাঝেই টার্গেটে আঘাত হানে। ফলে ইজরায়েলি ট্রফি এক্টিভ প্রটেকশন সিস্টেম ও কাজে আসেনা। আকারে ছোট ও সহজে বহনযোগ্য হওয়ায় এটি ব্যবহারে হামাস যোদ্ধাদের কোন অসুবিধা হয়না।
এপর্যন্ত ২০০০+ ইয়াসিন এন্টি ট্যাংক রকেট তৈরি হয়েছে।
উল্লেখ্য, হামাসের সমরাস্ত্র কোয়ান্টিটি অনেক স্বাধীন দেশের চেয়েও বেশী। তারা ঘরে বসেই মিসাইল, গাইডেড রকেট, ড্রোন, বোমা, মাইন, বন্দুক, স্নাইপার রাইফেল, সাবমেশিনগান, মেশিনগান, ছোটখাটো আর্টিলারি কামান, আরপিজি ইত্যাদি তৈরি করে।
তাদের বানানো রকেটের সর্বোচ্চ রেঞ্জ ১৫০ কি.মি.(এম-৩০২ রকেট) এবং সবচেয়ে দ্রুতগামী রকেটের গতি ম্যাক-৩+(এম-৭৫ রকেট)।
হামাসের ক্রমাগত শক্তিবৃদ্ধিতে এখন ইজরায়েলি সেনারা গাজা উপত্যকার আশেপাশে টহল দিতেও ভয় পায়, আর টহল দেয়ার সময় ট্যাংক/এপিসির ভেতরে থাকে।
ফিলিস্তিন অচিরেই স্বাধীন হবে ইনশাআল্লাহ।

ছবিতে ইয়াসিন আরপিজি হাতে হামাসের যোদ্ধা
Leave a Reply