মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেশীর ভাগ সামরিক কর্মকাণ্ডই মহাকাশ নির্ভর !
বলতে গেলে এইদিক দিয়ে আমেরিকার আশেপাশে কেউ নেই। মহাকাশ ও স্যাটেলাইট প্রযুক্তিতে আমেরিকা ও তাঁর মিত্র দেশগুলি অনেক এগিয়ে। বিশেষ করে গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম বা জিপিএস এই কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু।
জিপিএস গাইডেড বোমা, স্যাটেলাইটের মাধ্যমে নির্দেশিত অ্যাটাক ড্রোন কিংবা গোয়েন্দা ক্যামেরার সাহায্যে শত্রু অবস্থানের ছবি তোলা- এসবই এখন হচ্ছে মহাকাশ প্রযুক্তির মাধ্যমে।
কক্ষপথে স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্থান পরিবর্তন করতে পারে এবং অচেনা যে কোন বস্তু চিহ্নিত করতে পারে, এমন স্যাটেলাইট বর্তমানে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেরই আছে। সাথে ভূমি থেকে স্যাটেলাইট সফলভাবে ধ্বংস করার রেকর্ড ও আছে আমেরিকার দখলে। আমেরিকা চাইলে তাঁর শত্রুদেশের যে কোন স্যাটেলাইটকে টার্গেট হামলা বা জ্যামিং করে যোগাযোগ সম্পূর্ণ অচল করে দিতে পারবে।
এই প্রযুক্তিনির্ভর যুদ্ধকৌশল দিয়েই আমেরিকা ও মিত্রগুলি দাদাগিরি বেশী করছে সারা বিশ্বে। তবে আমেরিকা এর বিকল্প বিষয়টি সব সময় মাথায় রেখেই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকে। এই স্যাটেলাইট প্রযুক্তির যদিওবা আমেরিকার আশেপাশে কেউ নেই তবুও তারা নিকট ভবিষ্যতে সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হিসাবে নিয়েছে কখনো শত্রু যদি সামরিক বাহিনীর স্যাটেলাইটকে ধ্বংস করে দেয় বা হামলা চালায় কিংবা এর সিগনাল আদান-প্রদানের পথে জ্যামিং করতে সক্ষম হয় হ্যাক করে হোক বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেই হোক তাহলে এ ব্যবস্থা পুরোপুরি অচল হয়ে পড়বে। আর এ বিষয়টি মাথায় রেখেই নতুন যুদ্ধকৌশলের চিন্তাভাবনা অনেক আগেই করছে পেন্টাগন।
আর এ বিষয়গুলো মাথায় রেখেই যুক্তরাষ্ট্র মার্কিন সামরিক বাহিনীতে সৈন্যদের কাগজের ম্যাপ থেকে তথ্য উদ্ধার, নৌবাহিনীতে তারকার গতিবিধি দেখে পথচলা, সূর্যের আলো দেখে দিক নির্ণয় এমন বিষয়গুলোর প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। সাধারণত এই পদ্ধতিগুলো প্রাচীনকালে ব্যবহৃত হতো। এতে করে সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেও বা ব্লু ফোর্স ট্র্যাকার অচল হয়ে পড়ে, তবুও সেনারা জানতে পারবে তাদের ক্যাম্প ও সেনাবাহিনীর ইউনিট গুলি কোথায় আছে।
বর্তমানে রাশিয়া ও চীন উভয়ই মহাকাশ থেকে যুদ্ধ পরিচালনায় সক্ষম এমন স্যাটেলাইট প্রস্তুত করতে প্রচুর গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে চায়না এই ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে গেছে এমনকি কক্ষপথে যেকোনো বস্তু ধ্বংস করার ক্ষমতাও থাকবে এমন শক্তিশালী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার স্যাটেলাইট তৈরিতে সাফল্য পেয়েছে চায়না। যা খুব দ্রুত উৎক্ষেপণ করবে চায়না।
আমেরিকার পরে চায়না এখন নিজের সামরিক কর্মকাণ্ডই মহাকাশ নির্ভর করতে অনেক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
নিচে তিন ধরনের স্যাটেলাইটের ছবি দেওয়া হলোঃ
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.