পৃথিবীতে মানবসৃষ্ট সবচেয়ে দ্রুততম ১০টি বস্তুর বিবরণ নিয়ে আজকের এই পোস্ট !
১০) রকেট স্লেড(৬৪৫৩ মাইল)
এগুলো ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন মিসাইল, এয়ারফ্রেম প্রভৃতির এরোডাইনামিক পারফরমেন্স দেখার জন্য। এগুলোর নিচে স্লাইড ব্যবহার করা হয় চাকার পরিবর্তে এমনকি পরীক্ষণ এর উপরেও হিলিয়াম লুব্রিকেন্ট ব্যাবহার করা হয় !
০৯) নাসা এক্স-৪৩এ(৭০০০ মাইল)
এক্স-৪৩ একটি মনুষ্যবিহীন পরীক্ষামূলক বিমান ছিল যা মাক-৮.৪ স্পিড তুলতে সক্ষম হয় এবং ২০০৫ সালে এবং গীনেস বুক এ নাম লেখায়। এটি সুপারসনিক র্যামজেট দ্বারা চালিত ছিল।
০৮) স্পেস শাটল কলম্বিয়া(১৭০০০ মাইল)
পৃথিবীর সর্বপ্রথম সাক্সেসফুুল স্পেস শাটল যা ৩৭ টি মিশন সফলতার সাথে সম্পন্ন করে। ২০০৩ সালে দূর্ঘটনার আগে এটি সাধারনের চেয়ে দ্রুত ছিল এবং নিম্ন অর্বিটাল এ পুড়ে যায়। যাইহোক, ১৭০০০ মাইল গতি ছিল স্বাভাবিকের মধ্যেই যে গতিতে মহাকাশচারীরা এক দিনেই কয়েকবার সূর্য উঠা ও ডুবা দেখতে সক্ষম হয়।
০৭) ডিস্কভারি স্পেস শাটল(১৭৪০০ মাইল)
এটি মহাকাশে ৩০ টি সফল মিশন পরিচালনা করে। মাঝেমাঝে উচ্চতা ও পরিস্থিতির কারণে স্পেস শাটলের ১৭০০০ এর চেয়ে কিছু মাইল বেশি গতি তুলতে হয় যা ডিস্কভারিকে সবচেয়ে দ্রুতগামী স্পেস শাটলের মর্যাদা দিয়েছে। উক্ত গতি বুলেটের চেয়ে ৫ গুণ বেশি ছিল।
০৬) এপোলো ১০ ক্যাপসুল(২৪৭৯১ মাইল)
এপোলো ১০ ছিল নাসা চন্দ্র অভিযানের রিহার্সাল মিশন। ২৬ মে, ১৯৬৯ এ পৃথিবীতে ফেরত আসার সময় উক্ত চোখ ধাধানো গতি অর্জন করে এটি সেসময়কার দ্রুততম স্পেস ক্রাফট হিসেবে নাম লেখায়।
০৫) স্টারডাস্ট(২৮৮৫৬ মাইল)
স্টারডাস্ট একটি বিশেষায়িত স্পেস প্রোব ছিল যার মিশন ছিল কমেট ওয়াইল্ড ২ থেকে স্যাম্পল সংগ্রহ করা ল্যাবরেটরি এনালাইসিস এর জন্য। এই ৩০০ কেজির রোবোটিক প্রোব বুলেটের চেয়ে ৬ গূন বেশি গতি অর্জন করে। এটি ২০০৬ সালে এর প্রাইমারি মিশন কমপ্লিট করে। এ সময় প্রায় ২ বিলিওন মাইল গিয়ে কমেট ওয়াইল্ড ২ এ পৌঁছাতে হয়। এর অভ্যন্তরীণ রকেট একে টার্ন করাতে পারতো কমেট এর কাছে যেতে।
০৪) নিউ হরাইজন(৩৬৩৭৩ মাইল)
প্লুটো গ্রহের এবং এর উপগ্রহের উপর স্টাডির জন্য ২০০৬ এ পাঠানো হয় যা ২০১৫ তে প্লুটোতে পৌছায়। এটিকে পৃথিবী ও সৌরজগতের ট্রাজেকটরি থেকে বের হয়ে প্লুটোর কক্ষপথে যেতে হয়। এর মনো প্রপেল্যান্ট এবং গ্র্যাভিটেশনাল এসিস্ট এর প্রধান ক্ষমতার আধার।
০৩) ভয়েজার ১(৩৮৯১০ মাইল)
পৃথিবী থেকে সবচেয়ে দূরে ভ্রমণ করা এই বস্তু প্রতিবছর ৫২০ মিলিওন মাইল পাড়ি দেয়। ২০১৩ সালে এটি ইন্টারস্টেলার স্পেসে যেতে সক্ষম হয়। ভয়েজার ১ ২০২৫ সাল পর্যন্ত মিশন চালিয়ে যাবে।
০২) হেলিওস ১(১৪২০০০ মাইল)
নাসা ও জার্মান এর যৌথ উদ্যোগে এই স্পেস প্রোব ১০ ডিসেম্বর ১৯৭৪ সালে সোলার প্রোসেস সম্পর্কে গবেষনার উদ্দেশ্যে এটি উৎক্ষেপন করে। সূর্যের সার্ফেস থেকে ১৪৯৫৯৭৮৭১ কিমি দূর থেকে এটি সূর্যের ব্যপারে তথ্য দিবে (কেউ ভাববেন না এত দূরে থেকে দিয়ে লাভ কি !
এর কারণ সূর্য পৃথিবীর চেয়ে ১৩ লক্ষগুণ বড়)। ১৯৮২ পর্যন্ত এটি ডাটা পৃথিবীতে প্রেরণ করেছে।
০১) হেলিওস ২(১৫৭০৬৮ মাইল)
এটি সবচেয়ে কাছে দিয়ে সূর্যের অরবিটে প্রদক্ষিণ করতে পেরেছে তাও সবচেয়ে দ্রুততম গতিতে। এর আগের মডেল হেলিওস ১ এর চেয়ে প্রায় ৫ গুণ কাছে থেকে !
১৯৭৬ সালের ১৫ জানুয়ারিতে এটি লঞ্চ করা হয় এবং ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত সোলার প্লাজমা, কজমিক রে, সোলার ডাস্টের ব্যাপারে তথ্য পাঠাতে থাকে। হেলিওস ১ ও ২ দুই স্পেস প্রোবই এখনো সুর্যের অরবিটালে অবস্থান করছে।
Leave a Reply