সুইডেনের সাব গ্রুপের নির্মিত গ্রিপেন বিমান আমাদের সকলেরই চেনা এর লো-কস্ট আর লো-মেইন্টেন্যান্স এর কারনে। এটি যেকোন বিমান বাহিনীর জন্য একটা সস্তা ও আধুনিক চয়েস। এর এনজি বা নেক্সট জেনারেশন প্রোগ্রামের জেট যা ইতিমধ্যেই ব্রাজিল ডেলিভারি পেয়ে গেছে।

Brazil’s Gripen NG
এটির কিছু স্পেসিফিকেশন হলোঃ
এর পুর্বের ইঞ্জিন ভলভো আরএম-১২ এর বদলে এফ/এ-১৮ সুপার হর্নেটের ইঞ্জিন জিই এফ-৪১৪জি ইঞ্জিন ব্যাবহার করা হয়েছে যা এর মেইন্টেন্যান্স কস্ট কিছুটা বাড়াবে তবে একে আরো দ্রুত করবে, ভাল থ্রাস্ট টু ওয়েট রেশিও বাড়াবে। টেস্টে এ বিমান ম্যাক-১.২ তে সুপারক্রুজ করে দেখিয়েছে !
ম্যাক্সিমাম টেক অফ ওয়েট বাড়ানো হয়েছে ফলে বিমান আরো অস্ত্র বহন করতে পারবে। ফুয়েল ক্যাপাসিটি ৪০% বাড়ানো হয়েছে যা এ বিমানের নিচের দিক একটু চওড়া করবে। এর ফলে এর কম্ব্যাট রেঞ্জ ১৪০০ কিমি হয়েছে ও উক্ত জায়গায় আরো দুইটি হার্ডপয়েন্ট যুক্ত হয়েছে। ফলে মোট হার্ডপয়েন্ট স্টেশন হয়েছে ১০ টি।
পিএস-০৫/এ রাডার র্যাভেন ইএস-০৫ এইএসএ রাডার দ্বারা রিপ্লেস করা হয়েছে। গ্রিপেনের নতুন ইঞ্জিন এর মত এর আগের ইঞ্জিন ও খুব রিলায়েবল ছিল, ১৪৩০০০ ফ্লাইং ঘন্টায় একবার ও ফেইলুয়ার হয়নি।

Gripen NG Panoramic Panel
এর ককপিটের মাল্টি ডিজিটাল ডিস্পলের বদলে এক্টি সিংগেল মাল্টিফাংশন বড় ডিস্পলে ব্যাবহার হয়েছে, এতে রিয়েল টাইম ডাটালিংক আছে যা অন্যান্য ফ্রেন্ডলি বিমানের সাথে যোগাযোগ ধরে রাখে এবং হ্যাক হওয়া খুব কঠিন। এ সিস্টেমে স্যাটেলাইট লিংক ও রয়েছে।

Gripen NG Radar
এর রাডারের রেঞ্জ বাড়ান হয়েছে কিন্তু তা উল্লেখ করা হয়নি। কিন্তু রাডারের লক করার কৌশল বাড়ানো হয়েছে যা আগের তুলনায় বেশি জ্যাম রেজিস্ট্যান্ট।
Leave a Reply