১৯৭৯ সালে মার্কিন মদদপুস্ট একনায়ক রেজা শাহের পতনের পর ইরানের মানুষের ভিতর বিশাল ক্ষোভের সৃষ্টি হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি। কারণ জনগণের উপর একনায়ক রেজা শাহ এর অত্যাচারের মদদ দাতা ছিল আমেরিকা ও পশ্চিমারা। তাই ছাত্র জনতা ৪৪৪ দিন ৫৫ জন মার্কিন কূটনীতিক ও নাগরিকদের দূতাবাসে বন্দি রেখেছিল। তাদের উদ্ধারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এক গোপন অপারেশনের প্রস্তুতি নেয় যা অপারেশন ক্রেডিবল স্পর্ট নামে পরিচিত।
১৯৮০ সালে মার্কিন প্রসিডেন্টের নিদেশে সি আই বন্দিদের উদ্ধারে একটি গোপন অপারেশন পরিচালনা করতে প্রস্তুত হয়।
অপারেশনটি ছিলো মূলত ডেল্টা ফোর্সদের নিয়ে কমান্ডো অভিজান যেখানে একটি লকহিড সি-১৩০ পরিবহণ বিমান কে মডিফাই করে শক্তিশালী জেট প্যাক লাগানো হয়, যাতে করে ছোট স্থানে দ্রুত ল্যান্ড ও উড্ডয়ন করা যায়।
কারণ ইরানের রাজধানী ও বিমানবন্দরে ইরানের সরকার বিশাল নিরাপত্তা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি রাডার ও বিমান বিধ্বংসী বিভিন্ন ডিভাইস মোতায়েন করেছিলো। তাই এই সব শক্তিশালী ডিভাইসকে ফাঁকি দেয়া মার্কিন কমান্ডোদের জন্য অনেকটা অসম্ভব ছিল !
আর তাই এয়ারপোর্টের দূরে যেখানে রাডার সিস্টেম দুর্বল, যেখানে আমেরিকান বন্দিদের রাখা হয়েছিলো ঠিক তার পাশে একটা বিশাল স্টেডিয়ামে এই ৬০ টনের হেভি সি-১৩০ বিমানটিকে নামানোর প্লান করে, যেখানে ৩০ জনের একটি সেনা দল ভারী অস্ত্র নিয়ে বন্দিদের উদ্ধার করবে এবং দ্রুত পালিয়ে যাবে।
আর তাই তারা মার্কিন স্টেডিয়ামে বিমান নিয়ে ট্রায়াল দিতে আরম্ভ করে এবং সফল ও হয়, কিন্তুু বিমানটি নিয়ে প্রশিক্ষণ চলার প্রায় শেষ সময়ে পাইলটের সামান্য ভুলের কারণে বিমানটি ধ্বংস হয়ে যায়।
ফলে এই অপারেশনটি বাতিল হয়ে যায় !!
এরপরে অবশ্য আমেরিকা কানাডার দূতাবাসের সাহায্য নিয়ে তাদের বন্দীদের উদ্ধার করে !
ছবিতে সি-১৩০ পরিবহণ বিমানে মডিফাই করে শক্তিশালী জেট প্যাক লাগিয়ে ট্রায়াল দিচ্ছে ও শেষে পাইলটের ভুলে বিধ্বংস,
Leave a Reply