MQ-4C হলো ইউএস নেভি কর্তৃক ব্যবহৃত এমন একধরনের ড্রোন যা যেকোনো আবহাওয়া, দিন/রাত, যেকোনো সময়ে নজরদারি করতে পারে।
এই ড্রোনটি ইউএস নেভি তাদের পি-৮ মেরিটাইম পেট্রোলিং বিমানের সাথে কো-অপারেশনের জন্য বানানো হয়েছে।
এটি এমকিউ-৯ রিপার/প্রিডেটর-বি ড্রোন কে টার্গেটের ব্যাপারে লজিস্টিক সাপোর্ট এমনকি ট্র্যাকিং ও করতে সক্ষম
ট্রিটন আরকিউ-৪ গ্লোবাল হক এর উপর ভিত্তি কিরে বানান ও আপগ্রেড করা। গ্লোবাল হকের এয়ারফ্রেম, ডানা, ডি-আইসিং সিস্টেম যার মাধ্যমে এটি ক্লাউড লেভেলে আরো কাছাকাছি নেমে এসে প্রয়োজনে সাগরের টার্গেটের ব্যাপারে ইনফরমেশন দিতে পারে। এর বর্তমান সেন্সর স্যুট একে জাহাজের স্থান, লোকেশন, গতি, রেঞ্জ, জাহাজের ধরন সব আইডেন্টিফাই করতে সক্ষম !
৪ জন গ্রাউন্ড স্টেশনে পাইলটিং, নেভিগেশন, সেন্সর ম্যানেজমেন্ট করতে দরকার হয়। এটি গ্রাউন্ড থেকে অপারেট করা হয়।
- দৈর্ঘ্য – ৪৭ ফিট
- ডানার প্রশস্ততা – ১৩০ ফিট
- উচ্চতা – ১৫ ফিট
- সাধারণ ওজন – ১৪৬২৮ কেজি
- ইঞ্জিন – রোলস রয়েস এই-৩০০৭ টার্বোফ্যান ইঞ্জিন (২৮-৩৯ কিলোনিউটন থ্রাস্ট)
- সর্বোচ্চ গতি – ৫৭৫কিমি/ঘণ্টা
- রেঞ্জ – ১৫১৮৬ কিমি,
- ফ্লাইং এর সর্বোচ্চ সময় – ৩০ ঘন্টা
- সার্ভিস সিলিং – ৬০০০০ ফিট
এর স্পেশাল ফিচার হল,
- এটি প্রতিদিন ২৪ ঘন্টা উড়ানোর পর পরদিন আবার একইভাবে উড়ানো যায় লাইফটাইম পর্যন্ত।
- এএন/জেডপিওয়াই মাইল্টিফাংশন এক্টিভ ইলক্ট্রনিক্যালি স্ক্যান্ড এরে রাডার।
- ৫১০০০ ঘন্টা এয়ারফ্রেম লাইফটাইম।
এটি জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, ইউএস নেভি ব্যাবহার করে এবং ইন্ডিয়াকে অফার করা হয়েছে তাদের পি-৮ আই নেপচুন বহর এর সাবস্টিটিউট হিসেবে। ভবিষ্যৎ এ ভারত ও এটি ব্যাবহার করতে আগ্রহী। এর ইন্সট্রুমেন্ট এর দাম বেশি কিন্তু অপারেটিং খরচ কম। এর প্রতি ইউনিটের মুল্য ১৮২ মিলিওন।
MQ-4C Triton এর কিছু ছবিঃ
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.