জাপানের Mitsubishi F–2 হলো F-16 C/D ফাইটিং ফ্যালকনের উন্নত ভার্সন। যৌথভাবে যার ম্যানুফেকচারিং করেছে Mitsubishi এবং Lockheed Martin
ফাইটারটি খুবই ইফেক্টিভ ভাবে বানানো হয়েছে। এটি ৪র্থ প্রজম্নের মাল্টিরোল ফাইটার। এর উয়িং এরিয়া এফ-১৬ এর চাইতে ২৫ ভাগ বড়। ওজন কমানোর জন্য এতে গ্রাফাইট ইপক্সি ব্যাবহার করেছে লকহিড মার্টিন। কিছুদিন আগেই এতে XAMS-3 এন্টি শিপ মিসাইল লঞ্চ করা হয়েছে।

Mitsubishi F-2 Aircraft with XAMS-3 Missile
এই ছবিটিতে আপনারা যে লাল এবং হলুদ রং এর মিসাইলটি দেখতে পাচ্ছেন সেটা হলো XAMS-3 যা কিছুদিন আগেই জাপান F-2 তে লঞ্চ করেছে। এটি ম্যানুয়েভার করা খুবই সহজ।
এর দাম বেশি হওয়ায় এখনো জাপান এর কোনো খরিদ্দার পায়নি তবে এর দামের যে মূল্য আছে সেটা বলাই বাহুল্য।
এবার সংক্ষেপে এই এয়ারক্রাফটি সম্পর্কে জেনে নিইঃ
- ক্রুঃ ১ জন
- দৈর্ঘ্যঃ ৫১ ফিট
- প্রস্থঃ ৩৬.৪ ফিট
- উচ্চতাঃ ১৬.৪ ফুট
- সার্ভিস সিলিংঃ সর্বোচ্চ ১৮,০০০ মিটার উপর দিয়ে যেতে পারে
- রেঞ্জঃ ৪,০০০ কি:মি
- খালি অবস্থায় ওজনঃ ৯,৫০০ কেজি
- টেক-অফের সময় সর্বোচ্চ ওজনঃ ২২,০০০ কেজি
- পাওয়ারপ্লান্ট হিসাবে আছেঃ 1 × General Electric F110-GE-129 টার্বোফ্যান ইঞ্জিন
- সর্বোচ্চ গতিঃ ম্যাক ২
- সার্ভিস ইয়ারঃ ২০০০ সাল
- প্রোগ্রাম কস্টঃ ১২ বিলিয়ন ডলার
- ইউনিট প্রতি মূল্যঃ ১৩০ মিলিয়ন (২০১৬)
এছাড়া এতে Mitsubishi AESA (Active Electronically Scanned Array) J/APG-2 রাডার সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। এখন পযন্ত ১৩০+ F-2 তৈরি হয়েছে (২০১৬)।
এই এয়ারক্রাফটির প্রধান ব্যবহারকারি Japan Air Self-Defense Force। সবমিলিয়ে এর মোট ৪টি প্রোটোটাইপ রয়েছে।
অস্ত্রশস্ত্র হিসেবে এতে আছে,
- ২০ মি:মি এর একটি গান
- Mitsubishi AAM-3
- Mitsubishi AAM-4
- Mitsubishi AAM-5
- AIM-9 Sidewinder
- AIM-7 Sparrow
- ASM-1 এবং ASM-2 এন্টি-শিপ মিসাইল
- XAMS-3 এন্টি-শিপ মিসাইল
এফ-১৬ এর উপর ভিত্তি করে তৈরীকৃত এই ফাইটারটি তৈরি করা হলেও অনেক পার্থক্য লক্ষ করা যায়। যেমন:

AESA Radar
- উইং এরিয়া ২৫% বড়। গ্রাফাইট ইপক্সি এবং অন্যান্য যৌগিক পদার্থ ব্যাবহৃত হয়েছে ফলে ওজন কমেছে।
- নোজ সেকশন বড় করা হয়েছে যেন জে/এপিজি-১ বা জে/এপিজি-২ রাখা যায়। বিশ্বের প্রথম এইএসএ রাডার। বর্তমান ভার্সনে এপিজি-২ ব্যাবহৃত হয়।

Mitsubishi F2’s Cockpit
- এর টেইল এফ-১৬ এর চেয়ে বড় এবং আকৃতি আলাদা। এয়ার ইনটেক এর সাইজ বড়। ককপিট ক্যানোপি এফ-১৬ এর মত এক টুকরা না, তিনটি আলাদা অংশ আছে।
- এটি একসাথে ৪টি এএসএইচ-১ এবং এএসএইচ-২ এন্টিশিপ মিসাইল/ ৪টি এ২এ মিসাইল এবং ফুয়েল ট্যাংক নিতে পারে। এছাড়াও এফ-২ তে ড্রোগ প্যারাশুট আছে যা কিছু কিছু এফ-১৬ এর ভার্সনে দেখা যায়, যেমন: তুর্কি।
- এটি এফ-১৬ এর চেয়ে বেশি ম্যানুয়েভারেবল, ৮ টন এর অস্ত্র বহন করতে পারে, ক্লাইম্ব রেট এফ-১৬ এর চেয়ে ভাল। এটির স্টেলথি ফিচার ও ৪০০০ কিমি এর ফেরি রেঞ্জ আছে যা এফ-১৬ এর চেয়ে বেশি।
- এছাড়াও জাপানি ডেভেলপমেন্টের ফসল গ্রাফাইট ইপক্সি কম্পোজিট ম্যাটেরিয়ালের উইং এর উপর ব্যাবহার একটি নতুন আবিষ্কার ছিল যা চুক্তি অনুযায়ী আমেরিকা নিজ দেশে ট্রান্সফার করে নেয় !
মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই বিমানটির সার্ভিস লাইফে ২ মিনিটের মধ্যেই মাটি থেকে টেক অফ করে ঘটনাস্থলে টিইউ-১৪২ এম বিমান ও দুটি সু-২৭ বিমান ইন্টারসেপ্ট করার রেকর্ড আছে।
এয়ারক্রাফটির আরো কিছু ছবিঃ
Leave a Reply