১৯৭১ সালের দীর্ঘ ২৬৬ দিন প্রাণপণ লড়াই চালানোর পর এই সোনার বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। কিন্ত একটি কথা প্রচলিত আছে। স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন। আর এই কঠিন কাজটি সম্পাদনের জন্য চাই শক্তি। কারন বর্তমান বিশ্বে করুনার কোন স্থান নেই। শক্তিই কেবল শক্তিকে সমীহ করে।
বর্তমানযুগে ক্ষেপণাস্ত্র তথা নানা ধরনের মিসাইল ও রকেট একটি দেশের শক্তির প্রতিনিধিত্ব করে। আর বাংলাদেশও শীঘ্রই কয়েক রকম ক্ষেপণাস্ত্র বানানো শুরু করতে যাচ্ছে। আসুন দেখে নিই ভবিষ্যতের বাংলাদেশে কি কি ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি হবে,
১. WS22A রকেট সিস্টেম
এটি একধরনের গাইডেড রকেট সিস্টেম। বাংলাদেশ চীন থেকে ৯০ টি WS22A MLRS সিস্টেম ক্রয় করেছে। ইতিমধ্যে ৩৬ টি সিস্টেম ডেলিভারি দিয়েছে। প্রতিটি সিস্টেমে ৮০ টি লঞ্চারে ৮০ টি ১২২ মি.মি. গাইডেড রকেট থাকে যা ৪৭ কি.মি. দূরের টার্গেটে আঘাত করতে সক্ষম। বাংলাদেশ সমরাস্ত্র কারখানা-বিওএফ এ এই সিস্টেমের রকেটগুলো বানানো হবে।
কাজঃ শত্রুর ঘাটিতে বৃস্টির মত হামলে পড়া এবং দ্রুত শত্রু ঘাটিকে ধ্বংস করে দেয়াই এই সিস্টেমের প্রধান কাজ।
২. FN-16 মিসাইল
এটি চীনের তৈরি কাধে বহনযোগ্য মিসাইল। বাংলাদেশ প্রযুক্তিসহ এই মিসাইল ক্রয় করেছে। এটির সীকার ও গাইডেন্স সিস্টেম BAC তে বানানো হবে এবং বাংলাদেশ সমরাস্ত্র কারখানায় মিসাইল এসেম্বল করা হবে। এটি জ্যামিং রেসিস্ট্যান্ট ফায়ার এন্ড ফরগেট মিসাইল। ছোটখাটো সাজোয়া যান, নৌ-যান কিংবা হেলিকপ্টারে বেশ সহজে স্থাপন করা যায়। সাধারণত নিচু দিয়ে উড়ে যাওয়া হেলিকপ্টার, ড্রোন ও এয়ারক্রাফট ধ্বংস করতে এটি ব্যবহৃত হয়।
কাজঃ এই মিসাইলটি সর্বোচ্চ ৩.৮ কি.মি. উচ্চতায় ৬ কি.মি. দূরের এয়ারক্রাফটকে ধ্বংস করতে পারে।
৩. FL3000 মিসাইল
Flying Leopard 3000 মিসাইলের সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে FL3000, এটি একধরনের ক্লোজ ইন ওয়েপন সিস্টেম। মার্কিন রোলিং এয়ারফ্রেম মিসাইলের অনুকরনে এটি বানানো হয়েছে। প্রায় ১.৮৫ মিটার লম্বা এবং ৯০ মি.মি. ডায়ামিটার বিশিষ্ট এই মিসাইলের ওজন ২০ কেজি। এটি ৩ কেজি ওয়ারহেড বহন করে। এই মিসাইল শব্দের চেয়ে দ্বিগুন বেশী দ্রুতগতিতে ৮+ কি.মি. দূরের টার্গেটে আঘাত হানতে সক্ষম।
কাজঃ শত্রুপক্ষের মিসাইল আপনার উপর হামলা করতে আসলে আপনাকে জাস্ট এই মিসাইলটি নিক্ষেপ করতে হবে। তখন এই মিসাইলটি উড়ে গিয়ে শত্রুর মিসাইলের সাথে মুখোমুখি ধাক্কা লাগিয়ে বিস্ফোরিত হবে। ফলস্বরূপ শত্রুর মিসাইল আপনার উপর হামলা করার আগে আকাশেই ধ্বংস হয়ে যাবে। এছাড়া নিচু দিয়ে উড়ে আসা এয়ারক্রাফট ধ্বংসেও এটি ব্যাবহার করা যায়।
৪. ব্যালেস্টিক মিসাইল
ব্যালেস্টিক মিসাইলকে অন্যসব মিসাইলের রাজা বলা যায়। কারন মিসাইলের মাঝে এটিই সবচেয়ে বেশী ধ্বংসাত্মক। বাংলাদেশও এধরনের মিসাইল বানাতে আগ্রহী। এক্ষেত্রে চীন ইউক্রেন অথবা তুরস্কের সহায়তা নেয়া হতে পারে।
কাজঃ শত্রুর ঘাটি ও শহর ধ্বংসে ব্যবহৃত হয়।
৫. এন্টিশিপ ক্রুজ মিসাইল
বাংলাদেশ প্রথমে শর্ট রেঞ্জের এন্টিশিপ মিসাইল নেবে। এক্ষেত্রে চীনা সি-৭০৪ মিসাইলের প্রযুক্তি ক্রয়ের ব্যাপক সম্ভাবনা আছে। এই মিসাইলটি ৩৫ কি.মি. দূরের জাহাজকেও ধ্বংস করতে সক্ষম।
Leave a Reply