K-2 ব্লাক প্যানথার হলো সাউথ কোরিয়ার তৈরি এক লিজেন্ড মেইন ব্যাটল ট্যাংক। এই MBT চীন এবং উওর কোরিয়ার যে কোনো MBT থেকে উন্নত। তুরস্ক K-2 এর পারফরমেন্স দেখে K-2 এর টেকনলেজি কিনে নেয়।

K-2 এর টেকনলেজি Altay MBT তে ইনস্টল করবে তুরস্ক। মোট ২৫০ টি Altay তৈরি করবে। K-2এর টেকনলেজি কিনার জন্য সাউথ কোরিয়ার সাথে সুইজারল্যান্ড এবং সুইডেন আলোচনা করছে। K-2 তৈরি করা হয়েছে উওর কোরিয়াকে টার্গেট করে এবং M48 মেইন ব্যাটল ট্যাংক কে রিপ্লেস করার জন্য। মোট ৭০০+ K-2 তৈরি করা হয়েছে এবং মোট ১২০০ K-2 তৈরি করা হবে এবং ২০০ টি রিজার্ভ করে রাখা হবে জরুরি অবস্থায় ব্যবহার করার জন্য।

 

  • ক্রু ৩ জন
  • ওজন ৫৫ টন
  • সার্ভিসে আসে ২০১৪ এ
  • ইউনিট কস্ট ৮.৫ মিলিয়ন
  • টোটাল কস্ট ৭.৮ বিলিয়ন
  • ম্যানুফেকচারিং করেছে Hyundai Rotem
  • অপারেশন রেঞ্জ ৪৫০ কি.মি
  • স্পীড ঘন্টায় ৭০ কি.মি
  • ১,৫০০ HP এর ডিজেল ইঞ্জিন


টেকনোলজিঃ

K-2 তে প্রোটেকশন সিস্টেম হিসেবে রয়েছে Explosive Reactive Armor (ERA)। যা কিনা ইউএস এর M1A2 আব্রাহাম এর সঙ্গে তুলনীয়। ৮ কি.মি এর ভিতরে K-2 এর স্ক্যানারে যদি কোনো যান ধরা পরে তাহলে K-2 অটোমেটিক ভাবে সেই টার্গেটের উপর হামলা চালাতে সক্ষম।

নিচ দিয়ে উড়ে যাওয়া হেলিকপ্টারকে ফেলে দিতে সক্ষম এই ব্লাক প্যানথার। এর মেশিন গানে রয়েছে অটোমেটিক টার্গেটিং+এটাকিং সিস্টেম এবং তার রেঞ্জ ৪ কি.মি।

তার মানে মেশিন গান চালানোর জন্য K-2 তে কোনো ক্রু এর প্রয়োজন নেই তবুও ক্রু রাখা হয়। এসব কারনেই ব্লাক প্যানথারকে অন্যা যে কোনো MBT থেকে অন্যতম করে রেখেছে। বিশেষ করে পাহাড়ি পথে চলার জন্য K-2 তৈরি করা হয়েছে।

এটি শত্রুর কামান বা ক্ষেপণাস্ত্র থেকে বাচতে সফট কিল ও হার্ড কিল ডিফেন্স সিস্টেম ব্যাবহার করে।এর টারেটে মিলিমিটার ওয়েভ রাডার বসানো আছে যা মিসাইল এপ্রোচ ওয়ার্নিং সেন্সর হিসেবেও ব্যাবহার করা যায়। এ সিস্টেম ছুটে আসা কামানের গোলা ও মিসাইল এর ব্যাপারে ওয়ার্নিং দেয় ও অটোমেটিক ভিজুয়াল অ ইনফ্রারেড গ্রেনেড ছুড়ে দেয় যা দ্বারা ট্যাংকের ইনফ্রারেড ও রাডার সিগনেচার ঢাকা পড়ে যায়।

এটি সফট কিল সিস্টেমের কাজ। অপরদিকে হার্ড কিল সিস্টেমে এএমএস রাডার সিস্টেম সরাসরি ছুটে আসা বস্তুর দিকে গ্রেনেড ফায়ার করে এবং সেই সংঘর্ষে প্রজেক্টাইল ধ্বংস হয়ে যায়। এ সিস্টেমটি রাডার, রাডার ওয়ার্নিং রিসিভার, লেজার ওয়ার্নিং রিসিভারের সাহায্যে সমন্বয় করে কাজ করে এবং প্রচন্ড এক্যুরেট। এর প্রতি তারা এতটাই কনফিডেন্ট যে তারা লাভ ফায়ারিং এক্সারসাইজ এ নিজেদের মধ্যে ওপেন ফায়ার করে এবং এর প্রোটেকশন সিস্টেম আঘাতের আগেই প্রজেক্টাইলটিকে ধ্বংস করে দেয়।

এছাড়াও এর অটোমেটিক আগুন ধরলে ডিটেক্ট করার ও ক্ষতিকারক পরিবেশে ঢুকলে এলার্ট করে দেয়। এর আর্মার এতটাই শক্তিশালী যে সরাসরি এটিজিএম ও কাইনেটিক এনার্জি পেনেট্রেটরের হিট সহ্য করে নিতে পারে!অনেকটা লেপার্ড ২এ৬,৭ও৭+ এর মত।

 

আর্মামেন্ট হিসেবে ব্লাক প্যানথারে রয়েছে,

  • 120 মি.মি এরএর 55 ক্যালিবার এর Smoothbore ক্যানন, মোট ৪০ রাউন্ড গোলা রয়েছে। তুরস্ক ব্যাবহার করে ১৪০ মি.মি. এর ক্যানন।
  • ১ × ১২.৭ × ৯৯ মি.মি এর K6 হেবি মেশিন গান যাতে রয়েছে মোট ৪,০০০ রাউন্ড।
  • ১× ৭.৬২ × ৫১ মি.মি এর হেবি মেশিনগান যাতে রয়েছে মোট ১২,০০০ রাউন্ড।
  •  ১ টি MK-19 গ্রেনেড লাঞ্চার।

 

সব মিলে বিশেষ করে টেকনলেজি K-2 ব্লাক প্যানথারকে রাশিয়ার T-90 এর সবচেয়ে এডভান্স ভার্সন T-90MS থেকেও সেরা করে রেখেছে। বিষয় বলা যায়, এ ট্যাংকের এত ফিচারের সাথে এর ওজনের অনেক তারতম্য আছে, মাত্র ৫৫ টন। এ ট্যাংক প্রায় সব ব্রিজে বা মৌসুমি অঞ্চলে ব্যাবহার করা যায়। জার্মান লেপার্ড ট্যাংকে এক্টিভ প্রোটেকশন নাই তবে দরকার ও নাই। এ ট্যাংক ও সরাসরি এটিজিএম এর হামলা হজম কিরে নিতে পারে এর সফিস্টিকেটেড আর্মারের জন্য। অনেকগুলা দিক দিয়ে এটি লেপার্ড কেও পিছে ফেলে দিয়েছে। ডিফেন্স এনালাইসিস্টদের মতে এটি ২য় সেরা ট্যাংক। ২০০৭ সালে তুর্কিদের ট্যাংক এর বিবেচনায় এক্সপোর্ট প্রতিযোগি হিসেবে এটি লেপার্ড-২এ৭ এবং এএমএক্স লেকলার্ক কে হারিয়ে প্রথম হয়েছিল

Facebook Comments

comments