আপনারা সবাই জানেন সাবমেরিন একটি স্পেশাল জাহাজ যা বিশেষভাবে পানির নিচে থেকে চলাচল করে থাকে।
অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, কিভাবে এগুলোতে যথেষ্ট পানি ও জীবন নির্বাহের জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সাপ্লাই কিভাবে পায়?
সাবমেরিন তো দীর্ঘদিন ধরে পানির নিচে অবস্থান করতে পারে ! কিন্তু এত কিছু সম্ভব হচ্ছে কিভাবে??
সাবমেরিনের ভেতরে পানি বিশুদ্ধিকরণ যন্ত্র বিশেষ (Distillation Apparatus) থাকে যা বাহির থেকে সামুদ্রিক পানি সংগ্রহ করে। অতঃপর তা একেবারে তাপ দিয়ে বাষ্পতে রূপান্তরিত করে। এরপর তা ডিস্যালাইজেশন করে লবণ সরিয়ে ফেলা হয় ও পানি ফিল্টার করে তা একেবারে পান, রান্না বা যেকোন কাজে ব্যবহারের জন্য তৈরি!
এ পদ্ধতিতে সাবমেরিনে ১০০০০ থেকে ৪০০০০ গ্যালন বিশুদ্ধ পানি দৈনিক পাওয়া সম্ভব!
শ্বাস নেয়ার মত অক্সিজেন কিভাবে পায়?
অক্সিজেন সাবমেরিনে পাওয়ার জন্য অক্সিজেন ট্যাংক, অক্সিজেন জেনারেটর, অক্সিজেন ক্যানিস্টার থেকে তড়িৎ বিশ্লেষণ ব্যবহৃত হয়। অক্সিজেন হয় সারাদিনই নির্দিষ্ট সময় অন্তর ছাড়া হয় কিংবা কম্পিউটারাইজড পদ্ধতিতে অক্সিজেনের লেভেল এর বিচ্যুতি হলে ছাড়া হয়।
কার্বন ডাই অক্সাইড অপসারণঃ
মনে আছে তো, শ্বাস প্রশ্বাস একটি দ্বিমুখী কার্যপ্রণালী। খোলা জায়গায় আমরা শ্বাস নিলে তা থেকে বের হওয়া কার্বন ডাই অক্সাইড এর ব্যাপারে চিন্তা নেই। কিন্তু পানির হাজারফুট গভীরে একটি বদ্ধ বাক্সের ভেতর যদি তা অপসারণ না করা হয় তাহলে তা একটি অত্যন্ত গুরুতর ব্যাপার। ফলে অক্সিজেন ছাড়ার পাশাপাশি কার্বন অপসারণ একই গুরুত্ব বহন করে। এটি সোডা লাইম ইন ডিভাইসের মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে। সোডা লাইম হল Sodium Hydroxide ও Calcium Hydroxide এর মিশ্রণ যা কার্বন ডাই অক্সাইড এর সাথে বিক্রিয়া করে পয়জনিং থেকে রক্ষা করে।
এটির অনেকগুলো ক্ষেত্রে ব্যবহার দেখা যায় যেমন: বদ্ধ পরিবেশে শ্বাস নেয়ার যন্ত্র (Rebreather), Decompression Chamber ও সাবমেরিনে।
আদ্রতা অপসারণঃ
সাবমেরিনের মধ্যে অতিরিক্ত আদ্রতা ক্ষতিকারক। এই ঘনীভূত বাষ্প সাবমেরিনের যন্ত্রাংশে ও স্পর্শকাতর জায়গায় জমা হয়ে তা নষ্ট করে দিতে পারে। এমনকি সাবমেরিনের ভেতরে স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ তৈরি হতে পারে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য Dehumidifier ব্যবহার করা হয় যেগুলো শ্বসনের কারণে আদ্রতা ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধ করে।
Leave a Reply