রাশিয়ানরা যেখানে কোনো মুভিং টার্গেটে আঘাত হানতে এয়ার টু গ্রাউন্ড মিসাইল ব্যবহার করে, সেখানে পশ্চিমা দেশগুলো ব্যবহার করে Small Diameter Bomb বা প্রিসাইজ গ্লাইড বোমা। এগুলো ব্যবহারে খরচ অনেক কম হয়। যেমন: আমেরিকান জিবিইউ-৩৯/৫৩বি।

GBU-39
এগুলার রেঞ্জ নির্ভর করে এয়ারক্রাফট এর স্পিডের উপর। যদিও এই দুটি বোমারই রেঞ্জ ৭২.২ কিমি যা এয়ারক্রাফট এর গতি বৃদ্ধির মাধ্যমে আরো বাড়ানো যায়। যেমন এফ-২২ ম্যাক ১.৫ এ সুপারক্রুজিং এর সময় এটি লঞ্চ করা হলে এটির রেঞ্জ ১০০ কিমি ছাড়িয়ে যাবে।

GBU-53B
এগুলোর নির্ভুলতা ১.১ মিটার (CEP) অর্থাৎ এটি সর্বোচ্চ টার্গেটের ১.১ মিটার দূরে পড়তে পারে। একইসাথে এটি ৩ ফিট স্টিল রিইনফোর্সড কংক্রিট ভেদ করে টার্গেটে আঘাত হানতে পারে। এই ১১০ কেজির এ বোমাগুলো একটি ২০০০ পাউন্ড বোমার বদলে ৪টি রাখা যায়।

টেস্ট ফিল্ডে কংক্রিট এর বাঙ্কারে সুরক্ষিত একটি বিমানকে টার্গেট করে একটি গ্লাইড বোমা নিক্ষেপ করার মুহূর্ত
এগুলোর তিনটি সিকারের সমন্বয়ে গাইড করা হয় যা হল মার্জিং রাডার, ইনফ্রারেড এবং লেজার গাইডেন্স। এ ব্যাপারে রেইথেওন, এর ম্যানুফ্যাকচারার বলেছে; পৃথিবীতে অন্য কোন ওয়েপন কোন মুভিং টার্গেট ধ্বংস করতে ট্রাই মোড সিকার ব্যবহার করেনা। বোমাগুলি ৮০ কিমি প্রতিঘন্টা গতিতে ধীরেসুস্থে এবং স্টেলথি অবস্থায় ছুটে গিয়ে আঘাত হানে একেবারে নিখুঁতভাবে।

বোমাটি কংক্রিট এর স্তর ভেদ করে সফলভাবে টার্গেট ধ্বংস করে
Leave a Reply