এফ-৩৫বি ভার্সনে এই সিস্টেম অন্তর্ভুক্ত আছে। “এ” ভার্সনের এই সিস্টেম নেই যার ফলে “এ” ভার্সনের ওজন কম ও গতি তুলনামূলক বেশি। যাইহোক এফ-৩৫ বি ভার্সনে খাড়াভাবে ল্যান্ডিং এবং হোভারিং এর ব্যাবস্থা আছে; এর ইঞ্জিন (এফ-১৩৫) এবং লিফট সিস্টেম (রোলস রয়েস লিফট সিস্টেম) যা একে বাস্তবায়ন করেছে। এজন্য এফ-৩৫ বিভিন্ন আকৃতির জাহাজ, রাস্তা, ফ্রন্টলাইনের বেজ থেকে অপারেট করার ইউনিক ক্ষমতা পেয়েছে।
কিভাবে কাজ করে?
এফ-৩৫বি ভার্সনে ককপিটের পিছেই একটি লিফট ফ্যান আছে যা বাতাস্কে গরম না করেই অর্থাৎ পুর্ণাঙ্গ জেটব্ল্যাস্ট না করে সরাসরি কম্প্রেসড বাতাস ২০০০০ পাউন্ড ফোর্সে নিচের নজেল দিয়ে পাস করে যা বিমানকে হোভার করানোর অর্ধেক ওজন।
অপরদিকে মেইন ইঞ্জিন অর্থাৎ এফ-১৩৫ ইঞ্জিন ৯০ডিগ্রী ঘুরে নিচের দিকে তাক করানো হয় এবং এর ক্ষমতা প্রায় ১৯৫ কিলোনিউটন যা এক কথায় বিমানের অর্ধেক ওজন এর চেয়ে বেশি শক্তি প্রদান করতে পারে। মূলত এই দুইটি জিনিসই বিমানকে হোভার করায়। এফ-১৩৫ ইঞ্জিনের এই সিস্টেমটি রোলস রয়েলস লিফট সিস্টেমের সাহায্যে ৯৫ ডিগ্রী মাত্র ২.৫ সেকেন্ডের মধ্যে ইঞ্জিনকে ঘুরিয়ে নিচের দিকে আনতে পারে। এই সিস্টেমটির নাম ৩বিএস বা ৩ বিয়ারিং সিস্টেম। এটির মোট ক্ষমতা ১৮০০০ পাউন্ড। এই সিস্টেমটি ইঞ্জিনটিকে সামান্য পিছের দিকে রেখে বিমানকে হোভারিং অবস্থায় সামনে যেতে দেয়।
এখন কথা হল এই কম স্পিডে শুধু হোভার করলে বিমানকে ঘুরাবে কিভাবে ??
কারণ কনভেনশনাল কন্ট্রোল সার্ফেস দিয়ে লো স্পিডে কন্ট্রোল সম্ভব নয়। এজন্য এফ-৩৫ এর উইং এর নিচে আরো দুইটি জেট ব্লাস্টার আছে যা ১০% বা ২০০০ পাউন্ড প্রেশার দিতে পারে। মুলত এটি দিয়ে উচ্চতা মেইনটেইন, বিমান ঘুরানো, যেকোন কারণে বিমানটি উল্টিয়ে যাওয়া রোধ করে প্রেশারের পরিবর্তন এনে।
ফ্লাইটের জটিলতা কমানোঃ
এই শর্ট টেক অফ ভার্টিক্যাল ল্যান্ডিং সিস্টেমটা জাস্ট এটি এনাবল করার মত সোজা। এটি এনাবল করতে হলে এফ-৩৫ এর “সি” ভার্সনের যে বাটন দিয়ে এরেস্টর হুক নামায় ঠিক সেই বাটন প্রেস করতে হয়। বাটনটি প্রেস করার পর সিস্টেমটা বিমানকে ট্রান্সফর্ম করতে শুরু করে। সবগুলা লিফট ফ্যানের দরজা খুলে যায় এবং ইঞ্জিন ক্লাচ এনগেজ করার জন্য প্রস্তুত হয়। সবগুলা দরজা খুলে গেলে ক্লাচ এনাবল হয় এবং দুইটি কার্বন প্লেট এফ-১৩৫ ইঞ্জিন এবং ককপিটের পিছনের লিফট ফ্যান এর লিংকড রড চেপে ধরে যতক্ষণ না দুইটির গতি ম্যাচ না হচ্ছে। ম্যাচ হয়ে গেলে ম্যাকানিকাল ক্লাচ লকটি ডিসইনগেজ হয়ে যায় যেন ইঞ্জিনটি পূর্ণ ক্ষমতা প্রদান করতে সক্ষম হয়। এটি শেষ হলে সিস্টেমটি কমান্ড নেয়ার জন্য তৈরি হয়ে যায়। পুরো প্রক্রিয়াটি হতে ১৫ সেকেন্ড সময় নেয়।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.