জেনারেল ডায়নামিক্স কোম্পানির তৈরি F-16 XL (এফ-১৬ এক্সএল) এর নামটাও যেমন একটু ভিন্ন তেমনই আবার এর ডিজাইন ও বাকি F-16 এর ভার্সন থেকে ভিন্ন। এটি F-16 এর এমন একটা ভার্সন যেখানে বাকা তীরের মত ডেল্টা উইং ব্যবহার করে এর ডিজাইন করা হয়েছে।
এই F-16XL প্রথমদিকে টেকনোলজি ডেমন্সট্রেটর হিসেবে ধরে নেওয়া হলেও পরে ইউএস এয়ার ফোর্সের এনহ্যান্সড ট্যাক্টিক্যাল ফাইটার প্রোগ্রামে এর লোড বহনের ক্ষমত F-15 এর তুলনায় কম ছিল যার ফলে F-16XL F-15E স্ট্রাইক ঈগলের কাছে হেরে যায়। যার কারনে আর কোনোদিন F-16XL কে সার্ভিসে আনা হয়নি। তবে অনেক বিমানের থেকে এর লোড বহনের ক্ষমতা বেশি ছিল।
এই F-16XL সুপারক্রুজ করতে পারতো যা কিনা
এখন শুধুমাত্র ৫ম প্রজম্নের F-22 এবং গ্রিপেন এঞ্জি পারে আধুনিক ফাইটার করতে পারে। সুপারক্রুজ হলো
আফটারবার্নার চালু না করে বা ব্যবহার না
করেই সুপারসনিক স্পিডে চলা। যেটাকে
অফিশিয়ালরা এক্সিডেন্ট এচিভমেন্ট বলেছিল।
এই বিমানের ম্যানুয়েভার এর ক্ষমতা ছিল দুর্দান্ত
এটি 9G টার্ন নিতে পারতো, এংগেল অফ এটাকের সসময় ও একে ভালভাবে কন্ট্রোল করা যেত।

F-16XL এর প্রোডাকশন লাইন
এর F-110GE -100 ইঞ্জিনের পুর্ন ক্ষমতা (১২৫ কিলোনিউটন থ্রাস্ট) এ ম্যাক-২.০৫ গতিতে নিয়ে যেতে সক্ষম ছিল। এর রেঞ্জ ছিল ৪৫৯০ কিমি, যা সাধারন এফ-১৬ এ ভাবা যায়না। এর সার্ভিস সিলিং সর্বোচ্চ ৫০,০০০ ফুট ছিল। তবে ক্লাইম্ব রেট ছিল আমাদের জানা দুই একটা বিমানের চেয়ে কিছু কম যা ৩২০মিটার/সেকেন্ড। অর্থাৎ প্রায় তিন সেকেন্ডে এক কিমি উচ্চতায় উঠতে সক্ষম।
অস্ত্র হিসেবে ছিল একটি ভাল্কান ২০মিমি গ্যাটলিং গান এবং অস্ত্র মাউন্টের জন্য ১৭ টি হার্ডপয়েন্ট ও বিভিন্ন সেন্সর ও পড এর জন্য আরো ১০ টি স্থান। এছাড়া এটি F-16 এর অন্য যেকোন ভার্সনের সকল অস্ত্রসস্ত্র ই বহন করতে পারতো।

লিজেন্ডের সাথে F-16XL
Leave a Reply