এটি পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার বিমান, অনেকে মনে করে ডাসল্ট রাফাল এর স্পেক্ট্রা সিস্টেম নিজের আত্মরক্ষায় সবচেয়ে কার্যকরী কিন্তু ইএ-১৮জি রাফাল এর চেয়ে কয়েকগুন শক্তিশালী। এটির জ্যামিং পাওয়ার এতই বেশি যে এটি পুরো গ্রুপকে সাপোর্ট দিতে পারে।

প্রথমে শত্রু এলাকায় প্রবেশের সময় এটি উইংটিপে থাকা দুইটি প্যাসিভ রিসিভার AN/ALQ-218 (V)2 অন করে।

যার মাধ্যমে রাডারগুলো থেকে আসা সিগনাল ধরা পড়ে এবং এই ফ্রিকোয়েন্সির উপর নির্ভর করে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ইলেকট্রনিক এটাক সিস্টেম এর জ্যামার পড, স্টেট অব দি আর্ট “AN/ALQ-99” যা তিনটি সর্বোচ্চ নেয়া যায় তার যেকন একটি দিয়ে রাডারকে ইলেকট্রনিক সিগনাল দিয়ে অভারলোড করে এবং এটাক করে যার দুইটি সিস্টেম আছে।

প্রথমে রাডারে ইনভিজিবল করার জন্য ব্ল্যাংক এরিয়া বানানোর চেষ্টা করা হয়। তা সম্ভব না হলে পুরো রাডার স্ক্রিনে অনেকগুলো ভুয়া টার্গেটে ভরে দেয়া হয় ফলে পুরো স্যাম সিস্টেমটি অকেজো হয়ে পড়ে।

পুরো বিমানের সিস্টেমটিকে সাপোর্ট দেয় AN/ALQ-227 কমিউনিকেশন কাউন্টারমিজার সিস্টেম। এটি দিয়ে আকাশের টার্গেটেও সহজেই জ্যাম করা যায় এবং এফ-৩৫ ও এফ-১৮ গ্রুপকে ইলেক্ট্রনিক ওয়ারফেয়ার সাপোর্ট প্রদান করে যাতে একেবারে নিকটে গিয়ে গ্রুপটি এটাক করতে পারে।

এছাড়াও এটিতে দুইটি এইম-১২০/৯এক্স কিংবা এজিএম-৮৮ হার্ম এন্টি রেডিয়েশন মিসাইল থাকে যা দিয়ে আকাশ এর টার্গেট এবং ভুমিতে থাকা রাডারে আক্রমণ করতে পারে।





Facebook Comments

comments