এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় আধাসামরিক বাহিনী। বাহিনীর নাম রাখা হয়েছে আরবী “আনসার” শব্দ থেকে যার অর্থ হচ্ছে সাহায্যকারী। সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল পদবীর একজন অফিসার এই বাহিনীর প্রধান কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন। বাহিনীর সদরদপ্তর খিলগাঁও তে অবস্থিত।

১৯৪৮ সালে এই বাহিনী প্রতিষ্ঠিত হয়।১৯৬৫ সালের ভারতের সাথে যুদ্ধের সময় বাংলাদেশের সীমান্ত পাহাড়া দিয়ে এবং ১৯৭১ সালের বাংলাদেশ-পাকিস্তান যুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহন করে আনসার বাহিনী বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। এখনো পার্বত্য চট্টগ্রামে আনসার বাহিনীর ৩৮ টি ব্যাটেলিয়ন সন্ত্রাস দমনে কাজ করে যাচ্ছে।

 

আনসার বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব ৩ টি,

১. দেশের আইনশৃংখলা রক্ষায় সহায়তা করা।
২. যুদ্ধের সময় যুদ্ধরত সশস্ত্রবাহিনীকে সহায়তা প্রদান।
৩. দেশের যেকোন উন্নয়নমূলক কাজে অংশগ্রহণ করা।

মূলত আনসার বাহিনীতে ২ ধরনের প্রশিক্ষিত সদস্য আছে। একটা হচ্ছে সশস্ত্র এবং অপরটি নিরস্ত্র। সশস্ত্র আনসার সদস্যদের আবার দুটি ভাগ আছে। একদল সংগঠিত অপরদল অসংগঠিত অবস্থায় থাকে। দুটো মিলিয়ে দেশে সশস্ত্র আনসার সদস্যের সংখ্যা ২০,০০০+১,২০,০০০ = ১,৪০,০০০ জন।

এছাড়া, নিরস্ত্র আনসার সদস্যরা প্রশিক্ষিত হলেও এরা অপারেশনাল না। প্রয়োজনে এদের ডেকে নেয়া হয়।বাংলাদেশে এরকম প্রশিক্ষিত আনসার সদস্যের সংখ্যা ৫৭,০০,০০০(সাতান্ন লক্ষ) জন।

সাধারণত,আনসার সদস্যরা লী এনফিল্ড রাইফেল(যেটি থ্রি নট থ্রি রাইফেল নামে অধিক পরিচিত) এবং চাইনিজ টাইপ-৫৬ রাইফেল ব্যাবহার করে (উল্লেখ্য,মায়ানমার পুলিশের স্পেশাল ফোর্সও আমাদের আনসার বাহিনীর মত টাইপ-৫৬ রাইফেল ইউজ করে)।

আনসার সদস্যদেরকে গাজীপুরে আনসার একাডেমী থেকে প্রশিক্ষন নিতে হয়। আনসার বাহিনীর মাঝে আনসার ব্যাটেলিয়নের সদস্যরা সবচেয়ে বেশী প্রশিক্ষিত। এদের প্রধান অস্ত্র টাইপ-৫৬ রাইফেল।মেশিনগানও আছে। শীঘ্রই আনসার ব্যাটেলিয়নের সদস্য সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।

Bangladesh Ansar Battalion

Bangladesh Ansar Battalion

Bangladesh Ansar Battalion

Bangladesh Ansar Battalion

Bangladesh Ansar Battalion

Bangladesh Ansar Battalion

Bangladesh Ansar Battalion

Bangladesh Ansar Battalion

Bangladesh Ansar Battalion

Facebook Comments

comments