এই স্মার্ট ট্যাংকটি হচ্ছে বাংলাদেশে স্পেশাল ভাবে মডিফাই করা দুর্জয় ট্যাংক। এটি রাশান T-72 অথবা পাকিস্তানী আল জারার ট্যাংকের চেয়ে উন্নত।

পুরাতন টাইপ-৫৯ ট্যাংকের এর উপরে কাজ করে একেবারে ভোল পাল্টে এই ট্যাংকটিকে “বার্মিজ টি-৭২” ট্যাংকের চেয়েও উন্নত করে বানানো হয়েছে। বেশীরভাগ জায়গাই মডিফাই করা হয়েছে।

 

 

এতে যুক্ত করা হয়েছে,

  • NBC প্রোটেকশন
  • ফায়ার সুপ্রেশন সিস্টেম
  • লেজার ওয়ার্নিং রিসিভার
  • লেজার ডেজিগনেটর
  • ফায়ার কন্ট্রোল সিস্টেম
  • আধুনিক কম্ব্যাট ডাটা লিংক,থার্মাল ইমেজিং সিস্টেম (এটি লাগানোর ফলে এটি দিনে/রাতে, কুয়াশায়, ঘন অন্ধকারেও লড়াই করতে পারে)
  • লাগানো হয়েছে কেজ আর্মর ও কম্পোজিট আর্মর।ফলে এটি সুরক্ষা ব্যাবস্থা ও সেন্সর অনেক আধুনিক হয়েছে।
  • আগের ১০৫ মি.মি. রাইফেলড গানের বদলে লাগানো হয়েছে ১২৫ মি.মি. স্মুথবোর গান।এটি দিয়ে এন্টি ট্যাংক গাইডেড মিসাইলও নিক্ষেপ করা যায়।
  • এছাড়া এতে যুক্ত করা হয়েছে অত্যাধুনিক রাবার প্যাডেড চেইন বেল্ট ও নতুন ৭৩০ হর্স পাওয়ারের ডিজেল ইঞ্জিন।ফলে এর ম্যানুভারিটিও আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গেছে।
  • বাংলাদেশ নিজস্বভাবে একে মডিফাই করায় এর ওজন হয়েছে ৪০ টন যা টি-৭২ এর প্রায় সমান। কিন্ত আধুনিক প্রটেকশন সিস্টেম লাগানোর ফলে মায়ানমারের পুরাতন টি-৭২ এর চেয়ে বাংলাদেশের দুর্জয় ট্যাংক অনেক সুরক্ষিত। একইসাথে আধুনিক চেইন বেল্টের কারনে মাটিতে কম চাপ দেয় যা একে ফসলী জমিতেও লড়াই চালাতে সাহায্য করবে।
  • এছাড়া আকারে ছোট হওয়ায় সরু রাস্তা ও রাবার প্যাডেড চেইন বেল্ট একে পাহাড়ী এলাকায় লড়াইয়ের উপযোগী করে তুলেছে। আমাদের এই ট্যাংকের ফায়ারপাওয়ার টি-৭২ এর চেয়ে ভাল।

 

অস্ত্র হিসেবে এতে আছে,

  • ১ টি ১২৫ মি.মি. মেইনগান। এটি প্রায় ৩০০০+ মিটার দূরের লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে সক্ষম। এছাড়া, এই কামান দিয়ে এন্টি ট্যাংক মিসাইলও নিক্ষেপ করা যায়।
  • ২ টি ৭.৬২ মি.মি. মেশিনগান, এগুলো প্রায় ১০০০ মিটার দূরে থাকা লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করতে পারে।
  • ১ টি ১২.৭ মি.মি. এন্টি এয়ারক্রাফট গান। নিচু দিয়ে উড়ে যাওয়া এয়ারক্রাফটকে আক্রমণ করতে এই মেশিনগান ব্যাবহার করা হয়। এছাড়া,ভূমিতে থাকা টার্গেটে হামলা চালাতেও এটি ব্যাবহার করা যায়।
  • এই ট্যাংকে আরও আছে ১২ টি স্মোক গ্রেনেড লঞ্চার। এগুলো দিয়ে স্মোক গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয় যা শত্রুর চোখ থেকে ট্যাংককে আড়াল রাখতে সাহায্য করে।
  • একমাত্র লেটেস্ট মডেলের টি-৭২ ট্যাংকই দুর্জয় ট্যাংকের সমকক্ষ হওয়ার দাবি রাখে।

 

উল্লেখ্য, ২০১৫ সাল থেকে বাংলাদেশ পুরাতন টি-৫৪/৫৫ ও টাইপ-৫৯ ট্যাংকের মেইন চেসিসের উপর কাজ করে পুরো ট্যাংকের শেপ পাল্টে দিয়ে দুর্জয় ট্যাংক বানাচ্ছে। এ যাবৎ ১৭৬ টি দুর্জয় ট্যাংক বানানো হয়েছে। মোট ৩০০ এর কাছাকাছি দুর্জয় ট্যাংক রাখা হবে।

এই ট্যাংক প্রমান করে বাংলাদেশের অবকাঠামো আরেকটু উন্নত করে চেসিস ও বডি আর্মর বানানো শিখলে বাংলাদেশ নিজেই অত্যাধুনিক ট্যাংক বানাতে পারবে।

Durjoy Tank

Durjoy Tank

Durjoy Tank

Durjoy Tank

Durjoy Tank

Facebook Comments

comments