Aster ইউরোস্যাম কর্তৃক ম্যানুফ্যাকচারকৃত নেভাল বেজড এন্টি মিসাইল সিস্টেম।

অর্থাৎ, এটি মুলত বিমান নয়, মিসাইল ধ্বংসের জন্য ডিজাইন করা। তবে এটির গ্রাউন্ড বেজড ভার্সন ও রয়েছে। এটা এক্টিভ রাডার হোমিং এর মাধ্যমে ধেয়ে আসা যেকোনো সুপারসনিক মিসাইল ধ্বংস করতে পারে বলে বাস্তবে প্রমাণিত।

 

এস্টার-১৫ঃ এটি জাহাজে ক্লোজ ইন ওয়েপন সিস্টেম(CIWS) হিসেবে ব্যাবহার হয়। ব্রাহ্মোস এর মতো সুপারসনিক সী স্কিমিং মিসাইল ধ্বংস করতে সক্ষম।

২০১২ সালে একটা নেভাল এক্সারসাইজ এ হরাইজোন ক্লাস ফ্রিগেট এস্টার ১৫ দিয়ে সিংগেল শট এ ৩০০০ কি:মি:  প্রতি ঘন্টায় ৫ মিটারের মত এটিটিউডে ধেয়ে আসা সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল ইন্টারসেপ্ট করে।

এক্সারসাইজটটিতে তখন ইলেক্ট্রনিক ওয়ারফেয়ার পরিবেশ বিদ্যমান ছিল। এটা নি:সন্দেহে এস্টার মিসাইল এর ক্যাপাবিলিটি যা ক্লেইম করা হয়েছে তার প্রমান।

এস্টার ১৫ এর রেঞ্জ ০.৫-৩০ কিমি। এটার সাক্সেস রেট আমেরিকার ইভলভড সী স্প্যারো মিসাইল( রিম-১৬২ ইএসএসেম) ও বারাক-৮ এর চেয়ে বেশি কারন এটা সিংগেল শট এও কার্যকরী আর স্পিড মাক ৩.৫।

 

এস্টার-৩০ঃ এটি নেভাল বেজড এন্টি ব্যালিস্টিক মিসাইল ডিফেন্স যা ৬০০ কিমি পাল্লার যেকোন ব্যালিস্টিক মিসাইল ধ্বংস করতে পারে।

এস্টার ৩০ এর রেঞ্জ ১২০ কিমি। ভবিষ্যৎ এ এটির ইম্প্রুড ভার্সন আসবে যা এই রেঞ্জে থাকা যে কোন ৩০০০ কিমি পাল্লার IRBM ধ্বংস করতে সক্ষম হবে।

ইউরোপিয়ানরা কথায় ও কাজে ঠিক, তাই আশা করি অন্যথা হবেনা।

উল্লেখ্য, এর গ্রাউন্ড বেজড্ ভার্সন আছে যার নাম SAMP-T,  যার রেঞ্জ ১২০ কিমি এবং এর প্রতি ব্যাটারির মূল্য ৩৩০ মিলিওন। এই সিস্টেমটিি বর্তমানে ফ্রান্স ও ইতালী ব্যাবহার করছে।

ছবিতে, Eurosam SAMP/T Aster 30 এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম।

Facebook Comments

comments