আমাদের ভবিষ্যৎ সাবমেরিনে এআইপি সিস্টেম থাকবে। সম্ভবত সং ক্লাস হতে চলেছে আমাদের পরবর্তি সাবমেরিন। চলুন জেনে আসা যাক এআইপি সিস্টেম আসলে কি?
যে কোন ব্যবস্থা যা সাবমেরিনকে উপরে উঠে না এসে প্রোপালশন এর জন্য অক্সিজেন নির্ভরতা রাখে না তাই হল এআইপি সিস্টেম। আগে স্নোরকেল নামক লম্বা দন্ড ইউজ করা হত যা ডুবন্ত অবস্থায় সাবমেরিনের অক্সিজেন এর চাহিদা পুরন করে। নিউক্লিয়ার সাবমেরিনগুলাতে রিয়েক্টর দ্বারা ইলেক্ট্রিসিটি তৈরি হয় যার ফলে অক্সিজেন ছাড়াই ইঞ্জিন চালনা করা যায়। তবে নন নিউক্লিয়ার সাবমেরিনের জন্য ব্যাপারটা আলাদা।
সাধারনত এআইপি সিস্টেম হল সার্ফেসে থাকা অবস্থায় ডিজেল ইঞ্জিন চালিয়ে ইলেক্ট্রিসিটি জেনারেট করে ব্যাটারিগুলা চার্জ করে নিলে আগে যেখানে প্রতিদিন সার্ফেস করতে হত, এক্ষেত্রে সপ্তাহে সার্ফেসের প্রয়োজন হবে। আরো নতুন পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়েছে কিন্তু সেগুলা তেমন ব্যবহার হয়না। যেমন: হাইড্রোজেন পেরোক্সাইড দিয়ে অক্সিজেন তৈরি করা, যা খুব বিপজ্জনক।
নিউক্লিয়ার সাবমেরিন এর প্রধান সমস্যা হল এর রিয়েক্টর ঠাণ্ডা রাখতে কুল্যান্ট মোটর চালাতে হয় যা সহজেই ডিটেক্ট করা যায়। কিন্তু এগুলা বেশি গভিরে ডুবে থাকতে সক্ষম ও সাধারনত ২০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ জেনারেট করে। কিন্তু মডার্ন নন নিউক্লিয়ার সাবমেরিন সাধারনত ৩ মেগা পারে। কিন্তু এগুলা বেশি স্টেলথ হয়। কারন সাবমার্জ অবস্থায় শুধুই ইলেক্ট্রিক মোটর চলে যা এক কথায় সাইলেন্ট।
AMUR 1650 সাবমেরিনের AIP সিস্টেম। হয়ত এজন্যই ২০০৬ সালে একটি সং ক্লাস সাবমেরিন ইউএস ক্যারিয়ার গ্রুপের ৫ নটিক্যাল মাইলের মধ্যে চলে এসেছিল।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.