রাইনহার্ড হেইড্রিখ
যার নৃশংসতার জন্য খোদ হিটলার নিজে তাকে ‘দ্য ম্যান উইথ আইরন হার্ট’ বলে ডাকতো।
কেমন ভয়ানক বুঝেন তাইলে !
১৯৩৮ সালে জার্মানিতে ইহুদি অধ্যুষিত এলাকায় আক্রমনের ঘটনা ঘটে, যা ইংরেজিতে ‘ক্রিস্টাল নাইট’বা ‘নাইট অব ব্রোকেন গ্লাস’ হিসেবে পরিচিত।যার মাষ্টারমাইন্ড ছিল হেইড্রিখ। এই রাতে লুট, হত্যা, অগ্নিসংযোগ এবং ধ্বংসজজ্ঞ কোন কিছুই বাদ যায়নি; হত্যা করা হয় প্রায় ২২ হাজার ও বন্দী করা হয় প্রায় ৩০,০০০ ইহুদি, যাদের পাঠানো হয় বিভিন্ন কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে।
১৯৩৯ সালে পোল্যান্ড আক্রমণ বৈধতা দেওয়ার নিমিত্তে হিমলার একটি নাটক মঞ্চায়িত করে হিটলারের নির্দেশে, অপারেশন হিমলার নামে পোল্যান্ডে জার্মান বিল্ডিংগুলোতে আক্রমণ করে হেইড্রিখ। পৃথিবীকে আরেকটি বিশ্বযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেয় যে ঘটনা, সেই ঘটনাতেও সরাসরি জড়িত ছিল হেইড্রিখ। তবে হেইড্রিখ সবচেয়ে বেশি কুখ্যাত ছিলেন ১৯৪২ সালে সমূলে ইহুদি নিধনের পরিকল্পনার অন্যতম একজন হিসেবে, অসহায় নিরীহ মানুষ নির্বিচারে হত্যার দায়িত্ব নিয়ে নিষ্ঠুরতায় সেরা হেইড্রিখ হয়ে উঠে সবচেয়ে ঘৃণিতদের একজন।
বলা হয়ে থাকে ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা কালে তিনি নিজে পিস্তল দিয়ে গুলি করে ইহুদী মারতেন ও বিভিন্ন অংশে গুলি করে তাঁর প্রতিক্রিয়া দেখতেন ও এতে নাকি হেইড্রিখ মজা পেতেন। ধারণা করা হয় তিনি নিজেই ১৫ লাখের বেশী ইহুদী হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত নিজে গণহত্যার তত্ত্বাবধায়ন করতেন ! ১৯৪১ সালে পোল্যান্ডে এক ইহুদী এলাকায় হামলা চালিয়ে ১২০০০ পুরুষদের সবাইকেই ১ ঘণ্টার মাঝেই মেরে ফেলে মাটি চাপা দিয়ে দেন হেইড্রিখ।
১৯৪২ সালের ৪ জুন ইনফেকশনে মারা যায় হেইড্রিখ। ৯ জুন বার্লিনে অনুষ্ঠিত তার শেষকৃত্যে স্বয়ং হিটলার উপস্থিত ছিল !
সোর্স- এগিয়ে চলো ও ইন্টারনেট
Leave a Reply